বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশ স্পেশাল ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে বার্ষিক ওরস শরিফে যোগ দিতে রাজবাড়ীর আঞ্জুমান-ই-কাদেরিয়ার ‘মেদিনীপুর ওরস স্পেশাল ট্রেন’ টি চলাচল করে আসছে ১৯০২ সাল থেকে।
[irp]
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে বার্ষিক ওরস উপলক্ষে ১১৭ (২০১৯ সাল পর্যন্ত) বছর যাবৎ দেশের কেবলমাত্র রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কাদেরীয়া তরীকার মুরীদানদের নিয়ে বড় হুজুরপাক কেবলা পরিচালিত একটি স্পেশাল ট্রেন ২ ফাল্গুন রাত ১০টা নাগাদ রাজবাড়ি রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি সরাসরি বর্ডার অতিক্রম করে ৪ ফাল্গুন মেদিনীপুর পৌছে। ওরশ শেষে ৫ ফাল্গুন রাত ১০টা মেদিনীপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে রাজবাড়ি স্টেশনে পৌছে ১৯ ফেব্রয়ারি।
[slider loop=”1″ ids=”936,935,934,932,931,924″]
শত বছরের অধিককাল ধরে যাতায়াতকারী ট্রেনটি রাজবাড়ির ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে। ট্রেনটির নির্গমন ও আগমন উপলক্ষে রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন ও রাজবাড়ি বড় মসজিদ খানকা শরীফে কাদেরীয়া তরীকার মুরীদানদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। ইসলামিক ভাবগাম্ভীর্যে সজ্জিত ট্রেনটিকে পবিত্রতার প্রতীক বলে মনে করে। এ সময় শহর মুখরিত হয়ে ওঠে। নারী, পুরুষ ও শিশুসহ দুই হাজারের অধিক যাত্রী স্পেশাল ট্রেনে যাতায়াতের সুবন্দোবস্ত থাকে। আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়া কমিটির তত্ত্বাবধানে ও অফিস ব্যবস্থাপনায় পাসপোর্ট ভিষা সংগৃহীত হয়। হযরত এরশাদ আলী আল কাদেরী (আঃ) এর সময় থেকে দ্বীন-ই-ইসলাম ও কাদেরীয়া তরীকার ব্যাপক প্রচার ও প্রসার ঘটতে থাকে।
[wpspw_recent_post_slider]