জেলা সৃষ্টির ইতিহাস
বর্তমান রাজবাড়ী জেলা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৭৬৫ সালে ইংরেজরা বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভের পর উত্তর পশ্চিম ফরিদপুর (বর্তমান রাজবাড়ী জেলার কিয়দংশ) অঞ্চল রাজশাহীর জমিদারীর অন্তর্ভুক্ত ছিল। নাটোর রাজার জমিদারী চিহ্ন হিসেবে রাজবাড়ী জেলার বেলগাছিতে রয়েছে স্নানমঞ্চ, দোলমঞ্চ। পরবর্তীতে এ জেলা এক সময় যশোর জেলার অংশ ছিল। ১৮১১ সালে ফরিদপুর জেলা সৃষ্টি হলে রাজবাড়ীকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৯৮৩ সালে সরকার প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে প্রতিটি থানাকে মান উন্নীত থানায় রূপান্তরিত করলে রাজবাড়ীকে মান উন্নীত থানা ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১৮ই জুলাই থেকে সরকার অধ্যাদেশ জারী করে সকল মান উন্নীত থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করার ফলে রাজবাড়ী উপজেলা হয়। গোয়ালন্দ মহকুমার প্রশাসনিক দপ্তর রাজবাড়ীতে থাকায় অবশেষে ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ সকল মহকুমাকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সে থেকে রাজবাড়ী জেলায় রূপান্তরিত হয়।
রাজবাড়ী জেলার নামকরণ
রাজবাড়ী যে কোন রাজার বাড়ীর নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে কখন থেকে ও কোন্ রাজার নামানুসারে রাজবাড়ী নামটি এসেছে তার সুনির্দিষ্ট ঐতিহাসিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। বাংলার রেল ভ্রমণ পুস্তকের (এল.এন. মিশ্র প্রকাশিত ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে ক্যালকাটা ১৯৩৫) একশ নয় পৃষ্ঠায় রাজবাড়ী সম্বন্ধে যে তথ্য পাওয়া যায় তাতে দেখা যায় যে, ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে নবাব শায়েস্তা খান ঢাকায় সুবাদার নিযুক্ত হয়ে আসেন। এ সময় এ অঞ্চলে পর্তুগীজ জলদস্যুদের দমনের জন্যে তিনি সংগ্রাম শাহকে নাওয়ারা প্রধান করে পাঠান। তিনি বানিবহতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতেন এবং লালগোলা নামক স্থানে দুর্গ নির্মাণ করেন। এ লালগোলা দুর্গই রাজবাড়ী শহরের কয়েক কিলোমিটার উত্তরে বর্তমানে লালগোলা গ্রাম নামে পরিচিত। সংগ্রাম শাহ্ ও তাঁর পরিবার পরবর্তীতে বানিবহের নাওয়ারা চৌধুরী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এল.এন.মিশ্র উক্ত পুস্তকে উল্লেখ করেন যে, রাজা সংগ্রাম শাহের রাজ দরবার বা রাজকাচারী ও প্রধান নিয়ন্ত্রণকারী অফিস বর্তমান রাজবাড়ী এলাকাকে কাগজে কলমে রাজবাড়ী লিখতেন (লোকমুখে প্রচলিত) । ঐ পুস্তকের শেষের পাতায় রেলওয়ে স্টেশন হিসেবে রাজবাড়ী নামটি লিখিত পাওয়া যায়। উল্লেখ্য যে, রাজবাড়ী রেল স্টেশনটি ১৮৯০ সালে স্থাপিত হয়। ঐতিহাসিক আনন্দনাথ রায় ফরিদপুরের ইতিহাস পুস্তকে বানিবহের বর্ণনায় লিখেছেন -নাওয়ারা চৌধুরীগণ পাঁচথুপি থেকে প্রায় ৩০০ বছর পূর্বে বানিবহে এসে বসবাস শুরু করেন। বানিবহ তখন ছিল জনাকীর্ণ স্থান। বিদ্যাবাগিশ পাড়া, আচার্য পাড়া, ভট্টাচার্য পাড়া, শেনহাটিপাড়া, বসুপাড়া, বেনেপাড়া, নুনেপাড়া নিয়ে ছিল বানিবহ এলাকা। নাওয়ারা চৌধুরীগণের বাড়ী স্বদেশীগণের নিকট রাজবাড়ী নামে অভিহিত ছিল।
মতান্তরে রাজা সূর্য কুমারের নামানুসারে রাজবাড়ীর নামকরণ হয়। রাজা সূর্য কুমারের পিতামহ প্রভুরাম নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার রাজকর্মচারী থাকাকালীন কোন কারণে ইংরেজদের বিরাগভাজন হলে পলাশীর যুদ্ধের পর লক্ষীকোলে এসে আত্মগোপন করেন। পরে তাঁর পুত্র দ্বিগেন্দ্র প্রসাদ এ অঞ্চলে জমিদারী গড়ে তোলেন। তাঁরই পুত্র রাজা সুর্য কুমার ১৮৮৫ সালে জনহিতকর কাজের জন্য রাজা উপাধি প্রাপ্ত হন। রাজবাড়ী রেল স্টেশন এর নামকরণ করা হয় ১৮৯০ সালে। বিভিন্ন তথ্য হতে জানা যায় যে, রাজবাড়ী রেল স্টেশন এর নামকরণ রাজা সূর্য কুমারের নামানুসারে করার দাবি তোলা হলে বানিবহের জমিদারগণ প্রবল আপত্তি তোলেন। উল্লেখ্য ,বর্তমানে যে স্থানটিতে রাজবাড়ী রেল স্টেশন অবস্থিত উক্ত জমির মালিকানা ছিল বানিবহের জমিদারগণের। তাঁদের প্রতিবাদের কারণেই স্টেশনের নাম রাজবাড়ীই থেকে যায়। এ সকল বিশ্লেষণ থেকে ধারণা করা হয় যে, রাজবাড়ী নামটি বহু পূর্ব থেকেই প্রচলিত ছিল। এলাকার নাওয়ারা প্রধান, জমিদার, প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তিগণ রাজা বলে অভিহিত হতেন। তবে রাজা সূর্য কুমার ও তাঁর পূর্ব পুরুষগণের লক্ষীকোলের বাড়ীটি লোকমুখে রাজার বাড়ী বলে সমধিক পরিচিত ছিল। এভাবেই আজকের রাজবাড়ী।
পটভূমি
বর্তমান রাজবাড়ী জেলা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলার অন্তর্ভূক্ত ছিল। ১৭৬৫ সালে ইংরেজরা বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দেওয়ানী লাভের পর উত্তর পশ্চিম ফরিদপুর (বর্তমান রাজবাড়ী জেলার কিয়দংশ) অঞ্চল রাজশাহীর জমিদারীর অন্তর্ভূক্ত ছিল। নাটোর রাজার জমিদারী চিহ্ন হিসেবে রাজবাড়ী জেলার বেলগাছিতে রয়েছে স্নানমঞ্চ, দোলমঞ্চ।
পরবর্তীতে এ জেলা এক সময় যশোর জেলার অংশ ছিল। ১৮১১ সালে ফরিদপুর জেলা সৃষ্টি হলে রাজবাড়ীকে এর অন্তর্ভূক্ত করা হয়। এছাড়াও রাজবাড়ী জেলার বর্তমান উপজেলাগুলো অতীতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জেলার অন্তর্ভূক্ত ছিল। পাংশা থানা এক সময় পাবনা জেলার অংশ ছিল। ১৮৫৯ সালে পাংশা ও বালিয়াকান্দিকে নবগঠিত কুমারখালী মহকুমার অধীনে নেয়া হয়। ১৮৭১ সালে গোয়ালন্দ মহকুমা গঠিত হলে পাংশা ও রাজবাড়ী এ নতুন মহকুমার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং রাজবাড়ীতে মহকুমা সদর দফতর স্থাপিত হয়।
১৮০৭ সালে ঢাকা জালালপুরের হেড কোয়ার্টার ফরিদপুরে স্থানান্তর করা হয় এবং পাংশা থানা ফরিদপুরের অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৮৫০ সালে লর্ড ডালহৌসির সময় ঢাকা জালালপুর ভেঙ্গে ফরিদপুর জেলা গঠিত হলে গোয়ালন্দ তখন ফরিদপুরের অধীনে চলে যায়। তখন পাংশা, বালিয়াকান্দি পাবনা জেলাধীন ছিল।
১৯৮৩ সালে সরকার প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে প্রতিটি থানাকে মান উন্নীত থানায় রূপান্তরিত করলে রাজবাড়ীকে মান উন্নীত থানা ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১৮ই জুলাই থেকে সরকার অধ্যাদেশ জারী করে সকল মান উন্নীত থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করার ফলে রাজবাড়ী উপজেলা হয়। গোয়ালন্দ মহকুমার প্রশাসনিক দপ্তর রাজবাড়ীতে থাকায় অবশেষে ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ সকল মহকুমাকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সে থেকে রাজবাড়ী জেলায় রূপান্তরিত হয়।
কামারখালীর যুদ্ধ
৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। এ সময়ে যশোর, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ এর পতন হয়। যশোর ক্যান্টনমেন্ট ও দক্ষিণ অঞ্চলের সকল পাকসেনা পিছু হটে গড়াই নদী পার হয়ে ফরিদপুরের রাস্তার পাশ ধরে ঝোঁপের মধ্য দিয়ে ফরিদপুর শহরের দিকে আসতে থাকে। হেঁটে আসা সৈন্য দলের বিরাট একটি অংশ কামারখালীতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। উল্লেখ্য, এ যুদ্ধে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সৈন্য অংশ নেয়। এ সময় এ অঞ্চলে একটি মুক্তিযুদ্ধ ক্যাম্প ছিল বালিয়াকান্দির ঢোলজানিতে। ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ছিল। মুক্তিযোদ্ধারাও এ যুদ্ধের জন্য প্রস্ত্তত ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য ভারতীয় বোমারু বিমান এসে কামারখালী ঘাটে বম্বিং করেছিল। কামারখালীর যুদ্ধ ৪/৫ দিন স্থায়ী হয়।
এক নজরে রাজবাড়ী
ভৌগলিক অবস্থান
সীমানা
ভূপ্রকৃতি
প্রধান নদ-নদী
জলবায়ু
জীববৈচিত্র
প্রশাসনিক তথ্যঃ
ক্রমিক | উপজেলার নাম |
১ | রাজবাড়ী সদর |
২ | গোয়ালন্দ |
৩ | পাংশা |
৪ | বালিয়াকান্দি |
৫ | কালুখালী |
নির্বাচনী এলাকার/সংসদীয় আসনের নাম | সাংসদের নাম | ফোন ও ই-মেইল | মন্তব্য( কোন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী কি না/ |
রাজবাড়ী-১ রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী সদর উপজেলা ও গোয়ালন্দ উপজেলা নিয়ে গঠিত। | কাজী কেরামত আলী | 01715564484
rajbari.1@parliament.gov.bd |
|
রাজবাড়ী-২ | মোঃ জিল্লুল হাকিম | 01789328144
rajbari.2@parliament.gov.bd |
|
|
|
|
|
|
|
আলিউজ্জামান চৌধুরী (টিটো) |
|
|
মোঃ মোস্তফা মুন্সী০১৭৭০-৬৭৪৮০০
|
০১৭৭০-৬৭৪৮০০
|
|
মো: আবুল কালাম আজাদ |
01712466109
ইমেইল : baliakandiupc@gmail.com |
|
|
|
পৌরসভার নাম |
মেয়রের নাম |
মোবাইল নং |
রাজবাড়ী পৌরসভা | জনাব মোঃ আলমগীর শেখ তিতু | ০১৯২৪৯৯২৭০৯ |
পাংশা পৌরসভা | জনাব মোঃ ওয়াজেদ আলী | ০১৭১২৫০৬০০৬ |
গোয়ালন্দ পৌরসভা | জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম মণ্ডল | ০১৭১২৫০৯৬৯৮ |
খেলাধুলা
জেলার বিশেষ উল্লেখযোগ্য খেলাগুলোর নাম ও বিবরণঃ
ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট, সাঁতার, এ্যাথলেটিক্স, ব্যাডমিন্টন, দাবা
ক) উল্লিখিত খেলাগুলো রাজবাড়ী জেলায় নিয়মিত অনুশীলন হয়ে থাকে। তন্মধ্যে ঢাকা বিভাগীয় মহিলা ভলিবল প্রতিযোগিতায় ১৯৮৮ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ১৩ বার চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে ।
(খ) আন্তঃজেলা মহিলা ভলিবলচ্যাম্পিয়নশীপে রাজবাড়ী জেলা দল ১৯৯৪ হতে ২০০৮ পর্যন্ত ৬ বার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন এবং ৫ বার রানার্স আপ হবার গৌরব অর্জন করে।
(গ) জাতীয় জুনিয়র এ্যাথলেটিক্স ও সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে জেলার উদীয়মান সাঁতারু ও এ্যাথলেটবৃন্দ নিয়মিত স্বর্ণ জয় করে আসছে।
(ঘ) বয়স ভিত্তিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় রাজবাড়ী জেলা দল কয়েক বার বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন হয়।
খেলাধুলার স্থানঃ
রাজবাড়ী জেলা স্টেডিয়াম, রেলওয়ে মাঠ, কলেজ মাঠ।
(ক) সদর উপজেলাঃ খানখানাপুর, বরাট ভাকলা, কোলা, মূলঘর, আলাদীপুর, আটদাপূনিয়া, মাটিপাড়া, বসন্তপুর এবং বেলগাছিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা অনুশীলন হয়ে থাকে।
(খ) গোয়ালন্দ উপজেলাঃ গোয়ালন্দ প্রপার হাইস্কুল, নাজির উদ্দিন সরকারিউচ্চ বিদ্যালয় এবং দৌলতদিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা অনুশীলন হয়ে থাকে।
(গ) বালিয়াকান্দি উপজেলাঃ উপজেলা পরিষদ চত্বর, বালিয়াকান্দি কলেজ, নলিয়া জামালপুর, আড়কান্দি, বহরপুর এবং সোনাপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা অনুশীলন হয়ে থাকে।
(ঘ) পাংশা উপজেলাঃ পাংশা কলেজ, জর্জ হাইস্কুল, হাবাসপুর, মাছপাড়া, কালুখালী, নারুয়া, মৃগী এবং কসবামাজাইলসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা অনুশীলন হয়ে থাকে।
খেলাধুলার মাঠ ও স্টেডিয়াম এর অবস্থান
জেলার ৩০ টি খেলার মাঠে নিয়মিত খেলাধুলা হয়ে থাকে।
১টি স্টেডিয়াম রাজবাড়ী সদরে অবস্থিত।
বাৎসরিকঅনুষ্ঠিত খেলা সমূহ
প্রথম বিভাগ ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল লীগ। বাৎসরিক এ্যাথলেটিক, সাঁতার, দাবা, ব্যাডমিন্টন, জুডো-কারাত,আন্তঃউপজেলা ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট।
পালাগান, যাত্রা, মেলা ও বিনোদনের স্থান বিষয়ক তথ্যাদিঃ
ক্রমিক |
বিনোদনধর্মীঅনুষ্ঠান/ স্থান |
যোগাযোগেরতথ্য |
বিনোদনধর্মীকার্যক্রমেরসম্ভাব্যসময়সূচি |
১ | বৈশাখীমেলা
স্থান- রাজবাড়ীসদরউপজেলারপাঁচুরিয়াবাজার |
আয়োজককমিটি | প্রতিবছরের ১লা বৈশাখ |
২ | রথযাত্রাউপলক্ষেমেলা
স্থান- গোয়ালন্দবাজার,বালিয়াকান্দিউপজেলাধীনরামদিয়াবাজার, রাজবাড়ীপৌরসভাধীনহরিসভামন্দিরপ্রাঙ্গণ। |
আয়োজককমিটি | প্রতিবছরের আষাঢ়ী পূর্ণিমাতিথি |
৩ | আশ্বিনীসংক্রান্তিউপলক্ষেমেলা(গাশ্বিরমেলা) | আয়োজককমিটি | প্রতিবছরের আশ্বিনমাসের সংক্রান্তির দিন |
৪ | কালীপূজারমেলা
স্থান- বালিয়াকান্দিউপজেলাধীননলিয়াজামালপুর। |
আয়োজককমিটি | প্রতিবছর ফাগুনমাসের কৃষ্ণচতুর্দশী তিথি |
৫ | চড়কেরমেলা
স্থান-রাজবাড়ীসদরউপজেলাধীনমালিডাঙ্গাগ্রামেরপ্রেমচরণফকিরেরবাড়ীসংলগ্নমাঠ |
আয়োজককমিটি | প্রতিবছরের চৈত্রসংক্রান্তির দিন |
৬ | মনোরমাসিনেমাহল
দৌলতদিয়াবাসটার্মিনালেরপূর্বপার্শ্বে দৌলতদিয়া, গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী |
জনাব মোঃমোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, মালিক
ফোনঃ |
বেলা- ১২-৩০, বেলা- ৩-৩০, সন্ধ্যা- ৬-৩০, রাত- ৯-৩০ |
৭ | চিত্রাসিনেমাহল
সজ্জনকান্দা, রাজবাড়ী। |
জনাবমোঃআকতারুজ্জামানরনি
মালিকফোনঃ |
বেলা- ১২-৩০, বেলা- ৩-৩০, সন্ধ্যা- ৬-৩০, রাত- ৯-৩০ |
৮ | বসুন্ধরাসিনেমাহল
সজ্জনকান্দা,রাজবাড়ী |
জনাবমোঃআরিফহোসেনচৌধুরী, মালিক, ফোনঃ | বেলা- ১২-৩০, বেলা- ৩-৩০, সন্ধ্যা- ৬-৩০, রাত- ৯-৩০ |
৯ | সাধনাসিনেমাহল
স্টেডিয়ামসংলগ্ন, দক্ষিণভবানীপুর, রাজবাড়ী |
জনাবমোঃতোফাজ্জেলহোসেনমিয়া, মালিক
ফোনঃ |
বেলা- ১২-৩০, বেলা- ৩-৩০, সন্ধ্যা- ৬-৩০, রাত- ৯-৩০ |
১০ | ললিতাসিনেমাহল
বহরপুর, বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ী |
জনাবমোঃতোফাজ্জেলহোসেনমিয়া, মালিক
ফোনঃ |
বেলা- ১২-৩০, বেলা- ৩-৩০, সন্ধ্যা- ৬-৩০, রাত- ৯-৩০ |
১১ | মধুমতিসিনেমাহল
বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ী। |
জনাবমোঃনায়েবআলী
মালিক, ফোনঃ |
বেলা- ১২-৩০, বেলা- ৩-৩০, সন্ধ্যা- ৬-৩০, রাত- ৯-৩০ |
১২ | কণিকাসিনেমাহল
পাংশাবাজার,পাংশারাজবাড়ী |
খন্দকারআশারফুলহক(রাজা), মালিক | বেলা- ১২-৩০, বেলা- ৩-৩০, সন্ধ্যা- ৬-৩০, রাত- ৯-৩০ |
১৩ | বৈশাখীসিনেমাহল
কালুখালীরেলস্টেশনসংলগ্ন, রতনদিয়া, পাংশা। |
জনাবনেহাজআহমেদ
মালিক, ফোনঃ |
বেলা- ১২-৩০, বেলা- ৩-৩০, সন্ধ্যা- ৬-৩০, রাত- ৯-৩০ |
রাজবাড়ী জেলার ভাষা ও সংস্কৃতি
রাজবাড়ী জেলা প্রাচীন ইতিহাস ধারণ করে আছে।পদ্মা, চন্দনা, হড়াই, গড়াইয়ের সমতলে পলল মাটির উর্বর ভূমিতে আবহমানকালের প্রাচীন ঐতিহ্যের লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতি বিদ্যমান রয়েছে।রাজবাড়ী জেলার মানুষের মধ্যে জীবন-যাপনে, খাদ্য, কাজকর্ম, চলাচল, বাসভূমি বৈচিত্র আছে। এ ছাড়া ভাবপ্রকাশ, ব্যবহার রীতি, আদানপ্রদান এবং ভাষা ব্যবহারেও অঞ্চলভিত্তিক বিশেষত্ব আছে। মূলত এগুলো তাদের শত শত বৎসরের লোকজ মানুষের মটিফের প্রকাশ। রাজবাড়ী জেলার ভৌগলিক অবস্থানে কুষ্টিয়া, যশোহর, ফরিদপুর, পাবনা ও মানিকগঞ্জ এর প্রভাবে প্রভাবিত। এসব জেলা থেকে কম বেশী মানুষের রাজবাড়ী জেলায় অভিবাসিত হলেও বেশী পরিমাণ অভিবাসন রয়েছে পাবনা জেলা থেকে। ষাটের দশকে কুমিল্লা, নোয়াখালী থেকেও কিছু পরিমাণ মানুষের অভিবাসন ঘটে রাজবাড়ী জেলায়। রাজবাড়ী ঐতিহাসিকভাবে বঙ্গের এলাকা। বঙ্গ ছিল ভাটির দেশ। বঙ্গ বলতে সমতটীয় বর্তমান রাজবাড়ী, ফরিদপুর, যশোহরকে বোঝান হয়। বঙ্গের মানুষের সাধারণ জীবনচারিতা এরা সহজ সরল আড়ম্বরহীন জীবনে অভ্যস্ত। ইষ্টিকুটুম বাড়ীতে এলে সবাই আনন্দিত হয়। চাউলের রুটির সাথে মুরগীর গোস্ত, সে সাথে চিতাই পিঠা, প্রিয়। ধুপি পিঠা, কুশলীপিঠা তৈরী করে। ইলিশ, কৈ, মাগুর, শোল, বোয়াল এসব গ্রামীণ মানুষের প্রিয় খাবার। এককালে এলাকাটি হিন্দু প্রধান এলাকা ছিল। এখনও অনেক হিন্দু বসবাস করে। হিন্দু মুসলমানদের মধ্যে একে অপরের সাথে ভাব ভালবাসার অভাব নেই। মুসলমানদের বাড়ীর দাওয়াত হিন্দু খায়, হিন্দুর নিমন্ত্রণে মুসলমান তাদের বাড়ীতে যায়। মুসলমান একে অপরকে দেখলে সালাম এবং হিন্দু আদাব প্রদান করে। তবে সকলেই জীবনাচরণ একসাথে, এক মাঠে একঘাটে।
ভাষা ব্যবহারে রাজবাড়ীর মানুষের বিশেষত্ব রয়েছে। এরা ভাইকে বাই, উঠানকে উঠোন, কেমন করে অর্থ্যাৎ ক্যাম্বা, যেমনকে অর্থ্যাৎ য্যাম্বা, খাওয়াকে বলে খাবনে যাওয়াকে বলে যাবনে, যাওনা কেন বলবে যাসনে কেন, আসিসনে কেন, হওয়াকে বলে হয়া, যাওয়াকে বলে যাওয়া, বেগুনকে বলে বাগুন, লাউকে কদু, কুকুরকে কুত্তো, কুমড়াকে কুমড়ো, তেলেকে তেলো বলে। আবার পাবনার প্রভাবিত অনেকে ‘‘স’’ এর স্থলে ‘‘হ’’ উচ্চারণ করে যেমন সবকে হব, সুঁইকে হুই, সন্ধাকে হন্দে ভাষা ব্যবহার করে।
এরূপ নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতির প্রবাহ রয়েছে রাজবাড়ী জেলায়। এ ভাষাতেই রচিত হয়েছে রাজবাড়ী জেলার লোকজ গান, খেলা, মেলাসহ জীবনের দৈনন্দিন বিষয়।
রাজবাড়ী জেলার দুই একটি আঞ্চলিক গানঃ
পদ্মার পাশে ছোট্ট শহর
মোদের রাজবাড়ী
হেথা দেশ-বিদেশে যাওয়ার জন্যে
আছে ও ভাই রেলের গাড়ী ।।
নিত্যি আসে ঝুরি ঝুরি
তাজা ইলিশ মাছ
মোদের খাওয়ার জন্যে পদ্মা
জোগায় বার মাস
আবার মাঝে মাঝে দুই এক হালি
পাঠাই ও ভাই কুটুম বাড়ী।।
দাদশী আছে খোদাই দরগাহ
খোদার রহমত পাই
আলাদীপুরে জামাই পাগলের
মাজার আছে ভাই
লক্ষীকোলে বিখ্যাত এক
ছিল ও ভাই রাজার বাড়ি।।
রকম রকম ফল-ফলালী
বাঙ্গী তরমুজ ভাই
গরমকালে আম কাঁঠালের
অভাব মোদের নাই
ফলে ভরা ফসলে ভরা
স্মৃতি ভরা রাজবাড়ী।
মোঃ ইদ্রিস মিয়া ময়না
প্রবাদ, প্রবচনঃ
১। ‘যে যায় পাবনা, তার নেই ভাবনা’
-যথা সম্ভব নীলচাষের সময় এলাকাটি অত্যাচারিত হওয়ায় পাবনাকে অপেক্ষাকৃত ভাল জায়গা মনে করে লোকে এ প্রবাদ তৈরী করেছিল।
২। ‘নামে খায় বেলগাছির গুড়’
বেলগাছির গুড়ের এক সময় খুব সুনাম ছিল। এ সুনাম আজও রয়েছে।
৩। ‘এ কয় টাকা লাভ পেলেই আমি বালেকান্দীর ঠাকুর’
অল্পতেই তুষ্ট-
প্রবচনঃ
১। মাথায় বোঝা কোদালে চাষ
যে বাঁচবে শত সে বাঁচে পঞ্চাশ।
২। গড্ডার মালো তোর গড়গড়াটা কই
হালের বলদ বাঘে খায়ছে
পিঁপড়ে টানে মই।
৩। অতি বড় হয়ো না ঝড়ে ভাঙে নেবে
অতি ছোট হইওনা ছাগলে মুড়ে খাবে।
৪। ভাবে মল কুরনের মা
আটের মানুষ শুবেন কনে?
৫। সব নদী খান খান
হড়াই নদী সাবধান।
‘‘ছড়া’’
১। গড়াই, হড়াই,চন্দনা
চলছে দেখ মন্দনা
চলত যখন চাঁদ সওদাগর
করত সবাই বন্দনা।
২। আসে গেছে রেলের গাড়ি
যাওয়ার নাই আর মানা ঢাকা, মেলে কুষ্টে যাব
তা না না না।
৩। ইলিশ মাছের তিরিশ কাঁটা
বোয়াল মাছের দাড়ি
টিক্কা খান ভিক্ষা চায়
গোয়ালন্দের বাড়ি।
উৎসব অনুষ্ঠানঃ
গ্রাম্য মেলা, সার্কাস, সাপের খেলা, নাগর দোলা, পুতুল নাচ, পালা গান, লাঠি খেলা, নৌকা বাইচ, পুনাহ, নববর্ষ, হাল-খাতা, মহররম, দূর্গা পূজা, বুদ্ধপূর্ণিমা, বিবাহ, খাৎনা, খাদ্য আনুষ্ঠানিকতা, ঈদ উৎসব এসব জাঁক জমকের সাথে রাজবাড়ীতে পালন করা হয়। এর মধ্যে মেলা, পার্বন, মহররম,ঈদ, বিবাহ, খাৎনা প্রধান উৎসব হিসাবে পালন করা হয়।
মানব সংস্কৃতির ধারায় উৎসব প্রকৃতির ধারা বিকশিত হয়েছে। ক্ষুধার্ত মানুষের খিটমিটে স্বভাব ক্ষুধা নিবৃত্তির পর বললে যায়। অর্থ্যাৎ আরাম আয়েস মানুষের আনন্দ উৎসব প্রকাশ করায়। এছাড়া ধর্মীয় আচারানুষ্ঠানাদি উৎসব আনন্দে রূপ নেয়।
মেলার সাধারণ অর্থ সমাবেশ। আকাশে তারার মেলা অর্থ্যাৎ তারার সমাবেশ। তবে মেলার বৈশিষ্ঠ হলো তা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে স্থান বিশেষে নির্দিষ্ঠ সময়ের জন্য লোক সমাবেশ ঘটে। আমাদের মেলাগুলিকে মোটামুটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ- (১) ধর্মীয় চৈত্র সংক্রান্তি, নববর্ষ, রথ যাত্রা, ঝুলন, গাজন, চড়ক, দোল, নবমী, সপ্তমী, বারুনী, পৌষ পার্বন, বুদ্ধ পূর্ণিমা, মাঘি পূর্ণিমা, শিব রাত্রি, মহররম, শবে-ই-বরাত, ঈদ, ওরশ, দেবতা বা দরবেশের মেলা ইত্যাদি। (২) ধর্ম নিরপেক্ষ রাজবাড়ীতে বিভিন্ন লোকায়ত উৎসব নববর্ষ, কৃষি মেলা, ওরশ মেলা, ঘোড় দৌড়ের মেলা, বৃক্ষ মেলা, শিল্প মেলা ইত্যাদি রাজবাড়ীতে অনুষ্ঠিত কয়েকটি মেলার পরিচয়। লক্ষ্ণীকোল বুড়ির মেলা, লক্ষ্ণীকোল রাজা সূর্য কুমারের বাড়ী সংলগ্ন কয়েকশত বৎসরের পুরাতন প্রকান্ড বট গাছের নিচে ১ বৈশাখ থেকে ১ মাস ব্যাপী মেলা বসে। সাধারণ লোকে একে বুড়ির মেলা বলে। মেলাটি রাজা সূর্য কুমারের সময় অত্যান্ত জাঁকজমকের সাথে পালিত হতো। সে সময় লোকজ ও সংস্কৃতির সমাবেশ ঘটতো। তার পুত্র কুমার বাহাদুর সে ঐতিহ্য রক্ষা করে গেছেন। লক্ষ্ণীকোল রাজবাড়ীর স্মৃতি চিহ্ন নেই। তবে এখনও মেলা বসে কিন্তু মেলার সে আমেজ নেই।
রাজবাড়ী জেলায় প্রচলিত লোকনৃত্যঃ
ঢেঁকিনাচঃঢেঁকি বাংলার লোকজ সংস্কৃতির বাহন। ঢেঁকিতে ধানবানার সময় তালে তালে পা উঠানামা করে এবং শরীর দোলে। ঢেঁকির ছন্দের মত ছন্দ তুলে নাচ করা হয়। এ সাথে গানও করা হয়।
ও ধান বানিরে ঢেঁকিতে পা দিয়া
ঢেঁকি নাচে আমি নাচি দোলিয়া হেলিয়া দুলিয়া।
জারী নাচঃ রাজবাড়ী অঞ্চলে জারিগান বিশেষ ভাবে প্রচলিত। গ্রামের বিশেষ আর্কষন এই জারিগান। জারিগানের সাথে দলনেতাসহ সকলেই নেচে নেচে গান করে। গানের সাথে নাচের বিশিষ্ঠতা লক্ষ্য করা যায়।
সারিনাচঃ সারিনাচ নৌকা বাইচের নাচ। নৌকা বাইচের সময় সারিবদ্ধ ভাবে বাইচেরা নাচ করে।
ছোকরা নাচঃ রাজবাড়ি অষ্টক গানের প্রচলন আছে। এই অষ্ঠক গান সাধারণত ছেলে ছোকরাদের দ্বারা গাওয়ান হয়। এই ছেলেরা গানের সাথে নাচ করে।
কীর্তন নাচঃ রাজবাড়ি একসময় হিন্দু প্রধান ছিল। পূজাপর্বন ছাড়াও অন্য সময় কীর্তনের সাথে এ নাচ করে। রাজবাড়ি এবং অঞ্চল বিশেষ করে সোনাপুর সমাধিনগর এলাকায় এ নাচের প্রচলন রয়েছে।
বৃষ্টি নামানোর নাচঃ বৃষ্টি নামানোর জন্য এলাকায় মেয়েরা দল বেঁধে দেওয়ারে তুই অঝোরে অঝোরে নামো, দেওয়ারে বেহানে বেহানে নামো এ গানের সাথে নাচ করে।
লাঠি নাচঃ
রাজবাড়িতে লাঠি খেলা একটা প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী খেলা । এখনও এলাকায় মেলা পর্বনকে ঘিরে লাঠিখেলা অনুষ্ঠিত হয়। এটি একটি ছন্দের খেলা, খেলার সাথে নাচের দৃশ্য ফুঠে ওঠে।
ঘেটুনাচঃ ঘেটুনাচ গ্রামীণ লোকজ কথা, সুর ও অতি সাধারণ ভাবে নাচ করে।
ও মোর সুন্দরী
ক্যান করেছ মন ভারি
আমি এনে দেব আলতা সাবান
আর করো মান ভারি
সুন্দরী ক্যান করেছ মন ভারি।
এ রকম গানের তালে নাচ করে।
রাজবাড়ী জেলার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের তালিকাঃ
ক্রমিক |
সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাম |
প্রতিষ্ঠাকাল |
কাযক্রম |
১ | উদীচি শিল্পী গোষ্ঠী, রাজবাড়ী | ১৯৮০ | গান, নাচ, আবৃত্তি, নাটক ইত্যাদি |
২ | রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ | ১৯৯০ | বাংলা গান, আলোচনা সভা ইত্যাদি |
৩ | আবোল তাবোল শিশু সংগঠন | ১৯৯৪ | শিশুদের নাটক, গান, নৃত্য, আবৃত্তি, রক্ত সংগ্রহ, শীতার্ত ও বন্যার্তদের জন্য বস্ত্র সংগ্রহ ও প্রদান ইত্যাদি |
৪ | মুক্তি পাঠ চক্র | ২০০০ | বই নিয়ে আলোচনা, গবেষণা, বইমেলা, পুরোনো বইয়ের প্রদর্শনী ও বই উৎসব ইত্যাদি |
৫ | লক্ষিকোল লালন সংগঠন | ২০০৩ | আবৃত্তি, গান ও তবলা শিখানো ইত্যাদি |
৬ | রাজবাড়ী আবৃত্তি পরিষদ | ২০০৩ | আবৃত্তি চর্চার প্রসার ও প্রশিক্ষণ এবং আবৃত্তি বিষয়ক অনুষ্ঠান ও কর্মশালা ইত্যাদি |
৭ | মাতা-পিতা বাউল সংগীত শিক্ষালয় | ২০০৩ | লালনগীতি, আধ্যাত্মিক পালা গান, মুর্শিদী ও জারী-সারী ও হারমোনিয়াম, বেহালা, সারিন্দা, বাঁশি, মন্দিরা, ঢোলসহ বিভিন্ন যন্ত্রসংগীত তালিম প্রদান করা হয়। |
৮ | লালন বাউল সংগীত একাডেমী | ২০০৪ | ভাব বৈঠকী গান, লালরগীতি ও যন্ত্রসংগীত ইত্যাদি |
৯ | দোলনচাঁপা সংগীতাঙ্গন | ২০০৫ | উচ্চাঙ্গ সংগীত, নজরম্নল গীতি, রবীন্দ্র সংগীত ও অন্যান্য বাংলা গান এবং সংগীত কর্মশালা ইত্যাদি |
১০ | দর্পণ বাউল সংগীত স্মৃতি সংঘ | লালনগীতি, আধ্যাত্মিক পালা গান, মুর্শিদী ও জারী-সারী প্রভৃতি গানের চর্চা ও বিশেস্নষণ | |
১১ | প্রিয়তমাসু আবৃত্তি নিকেতন | ২০০৮ | শিশুদের উচ্চরণসহ আবৃত্তি প্রশিক্ষণ ও অনুষ্ঠান ইত্যাদি |
১২ | রাজবাড়ী জেলা বাউল পরিষদ | ২০০৯ | লালনগীতি, আধ্যাত্মিক পালা গান, মুর্শিদী ও জারী-সারী প্রভৃতি গানের চর্চা ওবিশ্লেষণ। |
ক্রমিক |
নাম |
১. | পদ্মা নদী রাজবাড়ী জেলার উত্তরে পদ্মা নদী অবস্থিত। |
২. | চন্দনা এটি পদ্মার শাখা নদী। পাংশা, কালুখালী এবং বালিয়াকান্দি উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
|
৩. | হড়াই এটি পদ্মার শাখা নদী। |
৪ | চত্রাই |
৫ | গড়াই |
৬ | কুমার |
তথ্যসূত্র: http://www.rajbari.gov.bd