এশিয়া উপমহাদেশের অসংখ্য ইতিহাসের সাথে জড়িত আমাদের রাজবাড়ী জেলা। যেমন নীল চাষের ইতিহাস। যার একটি খন্ড চিত্র তুলে ধরছি আমরা।
প্রথমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও পরে ব্রিটেন থেকে বাংলায় আগত ইংরেজ নীলকররা ইচ্ছামত নীলের চাষ শুরু করে। পাশাপাশি চলতে থাকে নীল চাষীদের উপর অত্যাচার ও নির্যাতন।
১৮১১ সালে তৎকালীন নদীয়া, ফরিদপুর, ঢাকা, খুলনার অঞ্চলে ব্যাপক হারে নীলকুঠি স্থাপনসহ নীলচাষ ও ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ে। বলা যায় ১৮১১ সালের পর থেকেই বর্তমান যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও ঢাকা অঞ্চলে ব্যাপকহারে নীলের চাষ শুরু হয়। রাজবাড়ী জেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই নীলকুঠি ছিল। এরমধ্যে কোনো কোনো ইউনিয়নে ২ থেকে ৩টি কুঠির সন্ধান পাওয়া যায়। তবে গড়াই চন্দনার পাশ্ববর্তী পাংশা ও বালিয়াকান্দি উপজেলাতেই বেশি পরিমাণ নীলের চাষ করা হত। পাংশা, যশাই, জলিলপাড়া, বাবুপাড়া, বাগদুল, মাচপাড়া, কশবামাঝাইল, কুঠিমালিয়াট, কোর্দি, মৃগী, সাওরাইল, বাকশাডাঙ্গী, মধুপুর, ঘিকমলা, গাড়াকোলা, বালিয়াকান্দি, সোনাপুর, বহরপুর, জঙ্গল, সংগ্রামপুর, বেলগাছি, পদমদি, কালুখালি, যশাই, দুর্গাপুর, দলাগিলা, কুঠিরহাট, বারবাকপুর, বসন্তপুর, রামদিয়া, সেকাড়া এসব জায়গায় ষাটের দশকেও নীলকুঠির ধবংসাবশেষ দেখা যেত।
যখন বাংলায় নীল ব্যবসায়ী ও নীলকরদের বিরুদ্ধে শোষিত নীল চাষীদের গড়ে ওঠে প্রতিরোধ আন্দোলন। তখন ১৮৬০ সালে বাবুপাড়াই উনিয়নের ভৈরব বাবু নীলকরদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। রয়েছে এমন হাজারও ঐতিহ্য ও ইতিহাস।
ছবিটি বাবুপাড়া ইউনিয়ন, পাংশার একটি মঠ। যা মনে করিয়ে দেয় ইতিহাসগুলো। হয়ত কিছুদিন পরে এটিও বিলুপ্ত হয়ে যাবে।
ছবিঃ RajbariCircle
আমাদের সাথেই থাকুন।
Rajbari Circle || একই সুতোয় গাঁথা প্রাণ
আমাদের তুলে ধরা রাজবাড়ীর আরো কিছু ঐতিহাসিক স্মৃতি চিহ্ন
http://bit.ly/রানীর_পুকুর
http://bit.ly/রাজকর্মকর্তার_পুকুর
http://bit.ly/রাজ_প্রজাদের_পুকুর
#HeritageRajbari